পর্যটন স্পট কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া রেজুখাল সংলগ্ন রামু পেচাঁরদ্বীপ এলাকায় সরকারী ভূমিতে মারমেইড বীচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি স্থাপনা গুড়িয়ে দিলেও বুধবার থেকে অজ্ঞাত কারণে আবারও পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ঝাউবিথী কেটে বালুচর দখল, সৈকত দ্বিখণ্ডিত নতুন করে কাঠের সেতু নির্মাণ এবং ফের বালুচরে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মারমেইড বীচ রিসোর্ট মালিক আনিসুল হক চৌধুরী প্রকাশ এলিয়েন সোহাগ। অনেকে বলাবলি করছে সরকার বদল হলেও মোটা অঙ্কের ঘুষ লেনদেন ঠিকই রয়ে গেছে। সরকারী খাস খতিয়ানের সাড়ে ৬ একর ভুমিতে এধরনের অবৈধ দখলদারিত্বের কাজ অব্যাহত রাখলেও জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগ রহস্যজনক নিরবতা পালন করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগ দুটি নামমাত্র মামলা করে অনেকটা নিশ্চুপ রয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে পরিবেশ রক্ষা ও ইসিএ এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধকল্পে অনুষ্টিত এক সভায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এইচএম এরশাদ সরকারী এই বিশাল সম্পদ দখল ও বিপুল পরিমাণ ঝাউ গাছ কাটার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত ১৫-১৬ বছর ধরে এধরনে পরিবেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ অব্যাহত রেখেছে মারমেইড বীচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।এসময় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা সহ সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
থার্টি ফাস্ট নাইট পালন ডিজে ও মদের পার্টির বিশেষ জোন ॥ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে মারমেইড বিচ রিসোর্টে’র বিরুদ্ধে সমুদ্র সৈকত দখলের অভিযোগ নতুন নয়। থার্টি ফাস্ট নাইট পালনে ডিজে ও মদের পার্টির জন্য বিশেষ জোন তৈরি করেছে ঝাউবিথীর বাগানে। সেখানে ঝাউগাছ কাটা হয়েছে তিন শতাধিক। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ফুল মুন বিচ পার্টি’। সমুদ্র সৈকত রক্ষায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ কতৃক রোপণ করা শতশত ঝাউবিথী উপড়ে ফেলা হয়েছে। যার ফলে পরিবেশের পাশাপাশি ক্ষতিরমূখে পড়ছে দেশের একমাত্র মেরিনড্রাইভ সড়ক। এছাড়াও, অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, শেখ পরিবারের এক নাতিসহ একাধিক মন্ত্রী-প্রভাবশালী নেতার বলয় দেখিয়ে একের পর এক সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করেছেন মারমেইড রিসোর্টটির মালিক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ। নিজেকে শেখ পরিবারের একজন দাবী করা সোহাগ একের পর এক দখল চালিয়ে গেলেও গেল ১৫-১৬ বছর অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের কেউ সেদিকে নজর দেননি। জানা গেছে, ২০১০ সালের ২২ জুলাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তৎকালিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রফিকুল ইসলাম অবৈধ দখলদার হিসেবে মাটমেইড ক্যাফে নামক কটেজ রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করায় জমির অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে ও অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য নোটিশ দেন। তিনি (সোহাগ) পেঁচারদ্বীপ মৌজার বিএস ১নং খাস খতিয়ানের বিএস ১২১৪ দাগের আন্দর ৫.৩০ একর জমিতে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন। এরআগে সহকারী কমিশনার (ভূমি), রামু গত ০১/১২/২০০৯ খ্রিঃ ও ০৭/১২/২০০৯ খ্রিঃ তারিখে তাকে দুই দফা নোটিশ দিলেও তার কোন কারণ দর্শানোর জবাব না দিয়ে অবৈধ দখলের মাধ্যমে ব্যবসা চালু রাখে। উক্ত অবৈধ দখলীয় জমি হতে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ওই সময়ে উচ্ছেদ মামলা নং-০২/১০-১১ রুজু করা হয়। উক্ত উচ্ছেদ মামলায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। অবৈধ দখলীয় জমি হতে আপনাকে কেন উচ্ছেদ করা হবেনা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে না দিলে এবং অবৈধ স্থাপনা সরানো না হলে ঐদিন বিধিমতে উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রশাসনের ইচ্ছে থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপের মুখে উচ্ছেদ করতে পারেনি। এভাবে ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বহমান খালের উপর অবৈধ একটি সেতু নির্মান করেছে। যে সেতুর উপর দিয়ে যেতে হবে সেই বিশেষ ডিজে ও মদের জোনে। পর্যটনের দোহায় দিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড চললেও সবাই অদৃশ্য কারণে চুপছিল।
সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট গণঅদ্ভ্যুথানের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দেয় এই মারমেইড সোহাগ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওইসব জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিনের নির্দেশে ২১ নভেম্বর দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ একর সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়। রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নির্মিত কাঠের সেতু ভেঙ্গে দেয়া হয়।
অভিযানে বালুচরে গড়ে তোলা অন্তত ৩০টি অবৈধ কটেজ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সৈকতে ঝাউবিথী কেটে স্থাপনা নির্মানের ঘটনায় বনবিভাগ বাদী হয়ে মারমেইড বীচ রিসোর্ট কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া পরিবেশের ক্ষতি করায় পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি মামলা দায়ের করেছে।
ভেঙ্গে দেয়া কাঠের সেতু পূন:স্থাপন ॥ সরেজমিনে ‘মারমেইড বীচ রিসোর্টে দেখা যায়, উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙে দেয়া কাঠের সেতুর পাশে নতুন করে আরও একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটক বা স্থানীয়রা নির্মিত সেতু দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয়া হয়। নতুন ভাবে নির্মিত সেতু পেরিয়ে দেখা গেছে, আবারও শত শত ঝাউবিথী কেটে তৈরি করা হয়েছে নাচ-গানের মঞ্চ, কফি সপ’, বা ‘মদের বার সাদৃশ্য বিশেষ জোন। সৈকতে ঝাউবিথী কেটে নতুন ভাবে অবকাঠামো তৈরি করেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। মারমেইড বীচ রিসোর্টের কয়েকজন কর্মচারী জানিয়েছেন, সৈকত দখল করে গড়ে তোলা ঝাউবিথীর ভিতর থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রস্ততি চলছে। প্রতিজন ৩৫০০ টাকা হারে টিকেটও বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতি মাসে একটি বিশেষ ‘ডিজে পার্টি’ হয় সেখানে। সাড়ে তিন হাজার টাকায় জনপ্রতি ফি’ নেয়া হয়। টিকেটধারীই শুধু সেখানে যেতে পারে। ‘বিশেষ ডিজে’ পার্টিতে ‘কি কি থাকে বা খাবার কি থাকে’ জানতে চাইলে কর্মচারীরা বলেন, তেমন কিছু না, শুধু বিদেশী বিয়ার ও মদ থাকে আর নারীদের দিয়ে নাচ-গান। রামু ভুমি অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, মূলত মারমেইড বিচ রিসোর্টটি পড়েছে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উন্মুক্ত প্রবাহমান খালের উপর মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ দুটি সেতুটি নির্মাণ করে। মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোন কিছুই তোয়াক্কা করছে না। তারা সম্প্রতি রাতের আঁধারে সেতুটি নির্মাণ করে চলছে অবৈধভাবে। কারণ সরকারী নিয়ম মতে চলমান খালের উপর সেতু নির্মাণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ আকারে জানালে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ এসে বিষয়টি দেখে চলে যায়। শুনেছি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ সেতুটি খালের উপর দৃশ্যমান রেখেছে এবং সরকারী প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি দখল করেছে।
মারমেইডেচ অধিকাংশই খাসজমি ও সৈকতের বেলাভূমি ॥ গত ২৮ নভেম্বর রামু ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক স্মারকনং-ইউঃভূ:অ/ধেচুয়াপালং/২০২৪-৫৬৪ মুলে জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মারমেইড বিচ রিসোর্টের বিশাল এলাকার অধিকাংশই খাসজমি ও সৈকতের বেলাভূমি। অল্প সংখ্যক জমি কিনে পাশের খাস জমি ও সৈকতের বালিয়াড়ির জমির মধ্যেই গড়ে উঠেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। তিনটি দাগের ৬ একর ৭০ শতক সরকারী জমি দখল, চরভরাট ও শ্রেণী পরিবর্তন করে ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
সরকার পতন হলেও মারমেইড সোহাগের দখবাজি থেমে নেই ॥ সরকার পতন হলেও মারমেইড সোহাগের দখবাজি যেন থেমে নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এবং কমিশন দিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির বিশাল এলাকা দখলে রেখে গলাকাটা বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ। সরকার পতন হলেও মারমেইড সোহাগের দখবাজি থেমে নেই। বালিয়াড়ি, পাথরময় জোয়ার-ভাটা অঞ্চল, উপকুলীয় জলাভূমী ও কোরালসহ সামূদ্রিক দ্বীপ রক্ষায় কক্সবাজারের সৈকত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশ করে। এ নির্দেশনা মতে, ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত, সৈকতের ঝাউ গাছসমৃদ্ধ ৩০০ মিটারে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ ও ৫০০ মিটার সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ অমান্য করে সবকিছুই তৈরি করেছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ-নো ডেভেলপমেন্ট জোন ॥ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের বিপরীতে ‘ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ফর কক্সবাজার টাউন অ্যান্ড সি আপ টু টেকনাফ’ মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী জোয়ার ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ উল্লেখ করে এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কউকের মাস্টারপ্ল্যান। এ প্ল্যান বাস্তবায়নে কউক সমুদ্র সৈকতের ৩০০ মিটারে কোন স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে প্রচার চালানো হয়। রহস্যজনক কারণে উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া দু:খজনক বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসিএ এলাকায় সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করা না হয় পরিবেশগত বড় হুমকিতে পড়বে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। তাই এখনি সময় দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন হিমছড়ি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, রাতের আধারে যারা ঝাউবিথী কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করেছি। আবারও ঝাউগাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। মারমেইড কর্তৃপক্ষ সেখানে অবকাটামো তৈরি করেছে, সেবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন দেখবেন। এটি আমাদের দায়িত্ব না। গাছ কাটার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মারমেইড বিচ রিসোর্টের মালিক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের মুঠোফােনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার জবাব দেননি তিনি। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, সরকারি জমি হোক আর ব্যক্তিগত জমি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। খাস বা সৈকতের বালিয়াড়ির জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। একবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। আবার দখল করলে আবারও চলবে অভিযান। সুত্র: জনকণ্ঠ
জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় বাড়লেই হোটেল-মোটেলে শুরু হয় গলাকাটা বাণিজ্য। কে কত বেশি ...
পাঠকের মতামত